বরিশালে ইট দিয়ে পিঠিয়ে ভাইকে হত্যা  

বরিশাল নগরীতে বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুরা রোডের রংধনু কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মো. ফরিদ হোসেন (৪৫)। নিহত মো. ফরিদ হোসেন ওই এলাকার জেসমিন ভিলার বাসিন্দা মৃত এমএ মজিদ খানের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের আপন ভাই মো. শাহ আলম খান ও মফিজুল ইসলাম খান নান্নুসহ তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

নিহতের অপর ভাই জিয়াউর রহমান খান জানান, তারা ১০ ভাই ও ৩ বোন। এদের মধ্যে মো. ফরিদ হোসেন খান তাদের বাড়ির সামনে থাকা কাতার থাই অ্যালুমিনিয়াম ফেব্রিকেটর নামের স্টল ভাড়া দিতেন। সম্প্রতি স্টলের ভাড়া নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ তৈরি করে ওই স্টলের ভাড়াটিয়া কাজায। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাড়াটিয়ার কাছে স্টলের ভাড়া আনতে যান ফরিদ হোসেন। এ নিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাযের সঙ্গে ফরিদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন কাজায ফরিদের অপর ভাই মো. শাহ আলম খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু, মজিবর রহমান ও ভাতিজা সিয়ামকে ডেকে নেন। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সবাই মিলে ফরিদ হোসের উপর হামলা করে। এসময় তারা পাইপ ও ইট দিয়ে পিটিয়ে ফরিদকে গুরুতর আহত করে। বাধা দিতে গেলে তারা অপর ভাই জিয়াউর রহমানকেও মারধর করে। এতে গুরুতর আহত ফরিদ হোসেনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ফরিদের স্ত্রী রোজী বেগম জানান, পৈতৃক জমি-জমা ভাগাভাগি নিয়ে অনেকদিন থেকেই ১০ ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। নিহত ফরিদ একটু সহজ-সরল হওয়ায় তাকে ভাইরা ঠকিয়ে আসছে। পরে স্থানীয়ভাবে পৈতৃক জমির উপরে থাকা থাই অ্যালুমিনিয়াম দোকানের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ফরিদকে। সে অনুযায়ী ফরিদ নিয়মিত চার-পাঁচ বছর থেকে দোকানের তিন হাজার টাকা ভাড়া তোলেন। সকালে ফরিদ দোকানের ভাড়া আনতে গেলে বড় ভাই শাহ আলম বাধা দেয়। এর পর ভাইদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাই শাহ আলম ও দোকানদার কাজাযসহ চার-পাঁচজন মিলে পাশে থাকা ইট দিয়ে পিটিয়ে ফরিদকে আহত করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দোকান ভাড়ার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের ভাই শাহ আলমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তার অপর ভাই মফিজুল ইসলাম খান নান্না ও তার ছেলে সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিযুক্ত দোকানের ভাড়াটিয়া কাজায ও অপর ভাই মজিবর রহমানকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি মো. নুরুল ইসলাম।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ